নির্বাসনের দিনলিপি-০২
[স্বেচ্ছায় সবার থেকে অন্তরালে যাপিত নির্বাসিত জীবনের বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো লিখে রাখার তাগিদেই এই ধারাবাহিক পোস্টের অবতারণা। কিছু এলোমেলো চিন্তা, লোকচক্ষুর আড়ালে কিভাবে কাটছে দিন, কি ভাবছি আমার জীবন নিয়ে ইত্যাদি টুকরো টুকরো নানা কথার ভান্ডার এই ধারাবাহিক। সম্পূর্ন ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার প্রকাশ এই পোস্টগুলো। অনেকটা ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতা যেন। জীবনের একটা সময়ে গিয়ে এই পোস্টগুলো আমাকে হয়তোবা বুঝতে সাহায্য করবে কিভাবে জীবনের একটি কঠিন সময় পার করেছিলাম।]
ঢাকা, জানুয়ারী ৯, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ
এবারের শীতকালটা গরম কাপড় ছাড়াই প্রায় কাটিয়ে দিচ্ছি। হাফহাতা একটা সুয়েটার আর কিছু ফুলহাতা শার্ট। এর বাইরে আপাতত কিছু দরকার পড়ছেনা। রাতে একটা কম্বল গায়ে দিয়েই দিব্যি চলে যাচ্ছে। ভোরের দিকে শীতের তীব্রতা থাকলেও পুরোদিন সেই তীব্রতার আঁচ বজায় থাকেনা। পত্রিকায় লিখালিখি হচ্ছে আসন্ন শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে। আপাতদৃষ্টিতে সেটা অনেক দেরি বলেই মনে হচ্ছে।
গতকাল (৮ই জানুয়ারী) বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড সফরে টানা ৬ষ্ঠ বারের মত পরাজিত হলো। ওয়ানডের পর এবার টি২০, আরেকটি চুনকাম। বিসিবির লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা, খেলোয়াড়দের মধ্যে কমিটমেন্টের অভাব, কোচের "পরীক্ষা-নিরীক্ষা" - পরাজয়ের জন্য কোন কারনটাকে দায়ী করা যাবে সেটাই বুঝতে পারছিনা। বিদেশের মাটিতে জেতা অনেক কঠিন, সেই কঠিন কাজটাকেই আরো কঠিন করে তুলেছে টানা ঘরের মাঠের (মিরপুর) মরা-স্লো পিচে খেলে অভ্যস্ত হয়ে পড়া ক্রিকেটারেরা। ভালো সূচনার পরেও মাঝপথে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ছে ব্যাটিং অর্ডার। বোলিং বৈচিত্র্যহীন। এতটা খারাপ পারফরমেন্স সর্বশেষ কবে বাংলাদেশ দল দেখিয়েছিলো সেটা এখন গবেষণার বিষয় বটে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নাকি দলে কাজ চালাচ্ছেন কোচ! ভালো কথা, কিন্তু সেই "গিনিপিগ টেস্টের" বলি হতে হচ্ছে সম্ভাবনাময় কিছু ক্রিকেটারকে, যারা ভালো পারফরমেন্স করেও মাঠের বাইরে। ভবিষ্যতে এটা দলের জন্য আদৌ কোন ফল বয়ে আনবে কিনা সেটা জানার জন্য এখন কি ২০১৯ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
প্রতিদিন এখন ৩ টা করে মুভি দেখি। নির্বাসিত গৃহবন্দী জীবনে টিভি সিরিজ, সিনেমা, বই আর পুরানো দিনের গান হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যসঙ্গী। আমির খানের আলোচিত সিনেমা "দঙ্গল" এখনো দেখে উঠতে পারিনি। দেখার আগ্রহ পাচ্ছিনা। স্টোরিলাইন ইন্টারেস্টিং কিছু মনে হয়নি আমার কাছে। শার্লক ফিরে এসেছে আবার টিভিতে। ৪র্থ সিজন। নতুন গল্প, নতুন থ্রিল। সেটাই দেখছি এখন। বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের অভিনয়, অসাধারন! মোটামুটি জানুয়ারীর ৩য় সপ্তাহের আগে সুপারহিরো সিরিজগুলো ফিরছেনা ক্রিসমাসের বিরতি কাটিয়ে। লুসিফার, দ্য ফ্ল্যাশ, লিজেন্ডস অব টুমরো...
(চলবে)